ইবনে খালদুন ও তাঁর ইতিহাসচর্চার ধারা|Ibn Khaldun and his Method for Study of History

Abstract

Ibn Khaldun, one of the leading historians of pre-modern era, is frequently designated as the father of modern sociology, economics, history etc. He devised new science for analysis of society as well as gave birth of innovative ideas providing the finishing touch of investigative history. At the very beginning his works though failed to attract the notice of Muslim scholars many non-Muslim scholars of nineteenth century became world famous by following the path showed by him. It is Ibn Khaldun who for the first time asserted that history like other sciences is also entitled to be the subject of research. This article after sketching the biography of Ibn Khaldun sheds light on the methods employed and followed by him to study history. Moreover, this article also focuses on the rise and decline of states and the theory of Asabiyyah. Above all, a noble effort is exerted here to demonstrate the efficacy of the methods employed by Ibn Khaldun to study history. The author in this paper meticulously tries to explicate that the efficacy of the method devised by Ibn Khaldun to study history encompassing the process to determine truth and falsehood as well as the indispensable qualifications of an historian is beyond controversy even in contemporary period.    
সারসংক্ষেপ : ইবনে খালদুন (১৪০৬ খ্রি.) পূর্বাধুনিক যুগের একজন নেতৃস্থানীয় ইতিহাসবিদ। তাকে আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইতিহাস প্রভৃতি বিজ্ঞানের জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি সমাজ বিশ্লেষণের জন্য স্বতন্ত্র পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। এছাড়াও তিনি ইতিহাস রচনায় নিয়ে আসেন নতুনত্ব, যার ফলে অনুসন্ধানমূলক ইতিহাস রচনা পূর্ণতা পায়। প্রথম দিকে তার কর্ম মুসলিম প-িতদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলেও ঊনবিংশ শতাব্দীর অমুসলিম প-িতগণের মধ্যে অনেকেই তার দেখিয়ে যাওয়া রাস্তা অনুসরণ করে বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন। ইবনে খালদুনই প্রথম আবিষ্কার করেন যে, অন্যান্য যে কোনো বিজ্ঞানের মত ইতিহাসও গবেষণার বিষয়। এই প্রবন্ধে ইবনে খালদুনের জীবনী বর্ণনান্তে ইতিহাস চর্চায় তার অনুসৃত ও প্রবর্তিত পদ্ধতির আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি এ প্রবন্ধে তার বিখ্যাত ‘রাষ্ট্রের উত্থান ও পতন তত্ত্ব’ এবং ‘আসাবিয়্যাহ’ ধারণা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সর্বোপরি এখানে তার প্রবর্তিত ইতিহাস চর্চার পদ্ধতির কার্যকারিতাও দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গুণগত ও অনুসন্ধানমূলক গবেষণা পদ্ধতি অবলম্বনে রচিত এ প্রবন্ধে প্রাথমিক ও দ্বৈতয়িক উপাত্তের সহায়তায় ফলাফলে পৌছাঁনোর প্রয়াস পেয়েছি। প্রবন্ধ থেকে স্পষ্ট হয়েছে, ইবনে খালদুন ইতিহাস রচনায় সত্যমিথ্যা যাচাই পদ্ধতি ও একজন ইতিহাসবিদের আবশ্যকীয় গুণাবলি এবং বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে অনুসন্ধানমূলক ইতিহাস রচনার যে পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন তার অবদান ও কার্যকারিতা বর্তমানেও অনস্বীকার্য।