উরফ : প্রামাণিকতা ও শরয়ী বিধানে এর প্রভাব|Urf: Revisiting its Authenticity and Influence in Shariah Rulings

Abstract

Since time immemorial custom (urf), or usage has been regulating the conduct, transactions or overall activities of human being. Custom (urf) has become so intextricably related with the nature and disposition of human being that conducting different affairis of life in isolation of it is simply impossible. The Scholars of Usul-al-Fiqh has divided the custom into different classes namely: explicit, implicit, general, special, approved, disapproved etc. The authenticity of urf is confirmed by the Qur’an, Sunnah as well as by Ijam (consensus of juristic opinions) and Qiyas (analogical deductions). Islamic Shariah has embodied certain peremptory principles which evidently has drawn the fine line between approved and disapproved urf. The four main Sunni schools of thought has scrupulously considered urf while formulating innumerable Shariah rulings. This paper has endeavoured to portray that urf has considerably influenced the formulation of Shariah rulings for ages. The author has boldly asserted that jurists should formulate Shariah rulings after considering the postive urf for the sake of public welfare.

সারসংক্ষেপ: উরফ, রেওয়াজ বা প্রথা যুগ যুগ ধরে মানুষের আচার-আচরণ, লেনদেন ও কার্যাবলিকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। মানুষের স্বভাব ও প্রকৃতির সঙ্গে উরফ এমনভাবে মিশে গেছে যে, কারো পক্ষে এর থেকে বেরিয়ে এসে জীবনযাপন সম্ভব নয়। উসূলবিদগণ উরফকে বিভিন্ন প্রকারে বিন্যস্ত করেছেন : বাণীসূচক ও কর্মসূচক, ব্যাপক ও বিশেষ, নসযুক্ত ও নসবিহীন, শুদ্ধ ও অশুদ্ধ। উরফের প্রামাণিকতার ওপর কুরআন ও সুন্নাহ থেকে দলীল যেমন রয়েছে, তেমনি ইজমা ও কিয়াসের দ্বারাও উরফের প্রামাণিকতা সাব্যস্ত হয়। শরয়ী নসের সঙ্গে উরফের যেমন আনুকূল্যমূলক সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি বৈপরীত্যমূলক সম্পর্কও বিদ্যমান। উরফকে বিবেচনায় এনে শরয়ী বিধান প্রণয়নের বেশ কিছু শর্ত রয়েছে, যা অবশ্য পালনীয়। চার মাযহাবেই অসংখ্য ফিকহী মাসআলায় উরফকে বিবেচনায় আনা হয়েছে। এই প্রবন্ধে বর্ণনামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখানো হয়েছে যে, যুগ যুগ ধরে উরফ শরয়ী বিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। বর্তমান সময়ে জনকল্যাণের স্বার্থে ইতিবাচক উরফকে বিবেচনায় এনে শরয়ী আইন প্রণয়ন করলে জনম-লী উপকৃত হবে।