বন্ধকী বস্তুর দ্বারা উপকার লাভ : একটি ফিকহী পর্যালোচনা|Benefits Arising out of Mortgaged Property A Review of Juristic Opinions

Abstract

Mortgage indisputably plays a vital role in economic transactions. Mortgage against debt provides security for payment of debt. An inextricable part of mortgage is the subjecmatter of mortgage or mortgaged property. Islamic scholars unanimously opine that owenership of the mortgaged property belongs to the mortgagor. However, they differ as to the recipients entitled to benefits arising out of mortgaged property. This article has endeavoured to decipher and explicate this issue by analyzing different juristic discourses. Relying on the authentic opinions of most of the Islamic jurists the author has asserted that with consent of the mortgagee or creditor a mortgagor or debtor is entitled to enjoy benefits arising out of mortgaged property. However, several scholars have opined that it is also lawful for the mortgagor to enjoy benefits arising out of mortgaged property without the assent of the mortgagee. Jurists have also differed on the very issue of enjoying benefits by the mortgagee. To most of the jurists, it is unlawful to enjoy benefits arising out of mortgaged property by the mortgagee even with the assent of the mortgagor. Because, debt if brings benefit will be treated as interest. On the contrary, several scholars have upheld the validity of the aforesaid case. If the mortgagee incurs any expenses in relation to the mortgaged property only then he is entitled to enjoy the benefits in proportion to the expenses. Most appallingly, the research paper argues that the mortgage system as extant in Bangladesh is indeed in the nature of riba al-nasi’ah and thus not valid.
সারসংক্ষেপ: রাহন বা বন্ধক আর্থিক লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। বন্ধক-ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বন্ধকী বস্তু। বন্ধকী বস্তুর মালিকানা বন্ধকদাতার - এ ব্যাপারে সকল ফকীহ একমত। কিন্তু বন্ধকী বস্তু থেকে কে উপকার লাভ করবে- এ ব্যাপারে ফকীহগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এ প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যেই  প্রবন্ধটি রচিত হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে বর্ণনামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে ফকীহগণের মতবিরোধের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং প্রণিধানযোগ্য মতের সপক্ষে প্রমাণাদি ও যুক্তি পরিবেশন করা হয়েছে। প্রবন্ধটি থেকে যেসব বিষয় ফুটে ওঠেছে তা হলো, ঋণদাতা বা বন্ধকগ্রহীতার অনুমতিক্রমে বন্ধকদাতার জন্য বন্ধকী বস্তু থেকে উপকার লাভ জায়েয বলে অধিকাংশ ফকীহ মত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, বন্ধকগ্রহীতার অনুমতি ছাড়াও বন্ধকদাতার জন্য বন্ধকী বস্তু থেকে উপকার লাভ জায়েয। বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকী বস্তু থেকে উপকার লাভ করতে পারবে কি-না? এ ব্যাপারেও মতবিরোধ করেছেন। অধিকাংশ ফকীহর মতে, বন্ধকদাতা অনুমতি দিলেও বন্ধকগ্রহীতার জন্য বন্ধকী বস্তু থেকে উপকার লাভ জায়েয হবে না। কারণ, ঋণ যখন উপকার বয়ে আনে তখন সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়। কেউ বলেছেন, বন্ধকদাতার অনুমতিক্রমে বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকী বস্তু থেকে উপকার লাভ করতে পারবে। বন্ধকী বস্তুর জন্য যদি বন্ধকগ্রহীতাকে খরচ করতে হয় তবে তার সেই পরিমাণই উপকার গ্রহণ জায়েয হবে সে যতটুকু খরচ করবে। প্রবন্ধ থেকে আরও প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশে প্রচলিত বন্ধক-পদ্ধতি মূলত রিবা নাসিয়াহমূলক, যা জায়েয নয়।