কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়ন ও স্বীকৃতির বাস্তবায়ন: একটি প্রায়োগিক প্রস্তাবনা|Toward Effective Implementation of Recognition and Evaluation of Qawmi Certificates: A Pragmatic Proposal

Abstract

The Qawmi madrasa system is a long-standing and traditional educational model in Bangladesh. Each year, around 30,000 students complete their Dawrah-e-Hadith, contributing significantly to the moral foundation of society. Yet, they hold the capacity to contribute even more, which can be realized through full institutional recognition and practical validation of their education. Comparative research shows that Qawmi madrasas in neighboring countries—India, Pakistan, and Afghanistan—have received governmental recognition, with visible benefits. In Bangladesh, despite the 2017 declaration equating Dawrah-e-Hadith with a Master’s in Islamic Studies and Arabic, students have yet to see meaningful advantages. The nation, too, remains largely unaffected by this recognition.This paper proposes that the Qawmi syllabus be restructured—without compromising its religious essence—to align with SSC, HSC, and Bachelor’s equivalency. It recommends establishing a higher-level Qawmi Education Commission and ensuring each educational stage receives proper recognition. Such reforms would open pathways to higher education and employment at home and abroad, free from discrimination.By empowering this large and promising group, both the religious community and the nation can benefit immensely. The paper offers practical recommendations for curriculum reform and recognition, supported by a comparative analysis of similar institutions in the region. Preserving the distinctiveness of Qawmi education within a national framework can pave the way for new academic and social opportunities, enriching South Asia’s traditional Islamic scholarship in a modern context.

সারসংক্ষেপ: কওমি মাদরাসার শিক্ষা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাব্যবস্থা। প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদীস শিক্ষা সমাপন করছেন। নৈতিক সমাজ বিনির্মাণে তাদের বিশেষ অবদান রয়েছে। তবে তারা দেশ ও জাতির আরও অধিক সেবা করার সামর্থ্য রাখে। তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি ও এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এই সামর্থ্যকে বাস্তবে রূপদান করা সম্ভব। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের কওমি মাদরাসার শিক্ষাপদ্ধতি সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এবং সেই স্বীকৃতির বাস্তব প্রতিফলনও রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ২০১৭ সালে দাওরায়ে হাদীসকে ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি বিষয়ে মাস্টার্স সমমান ঘোষণা করা হলেও দৃশ্যত এর কোনো সুফল শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না। দেশ ও জাতিও এই স্বীকৃতি থেকে উপকৃত হচ্ছে না। এর প্রতিকার হলো—কওমি মাদরাসার সিলেবাসের মূল উদ্দেশ্য অক্ষুণ্ন রেখে সিলেবাস পুনর্বিন্যাস করা, এম.এ.-এর মতো স্নাতক, এইচ.এস.সি. ও এস.এস.সি.-এর মান নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে একটি উচ্চতর ‘কওমি শিক্ষা কমিশন’ গঠন করা। সেই সাথে শিক্ষার প্রতিটি স্তরই যেন যথাযথভাবে স্বীকৃত হয়, যাতে দেশ ও বিদেশে তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ অবারিত হয় এবং তাদের  যোগ্যতানুযায়ী কর্মক্ষেত্র নির্বাচনে কোনো বৈষম্য না থাকে। তবেই সম্ভাবনাময় এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে দীন-মিল্লাত ও দেশ আরও অধিক উপকৃত হবে। এ প্রবন্ধে কওমি শিক্ষার্থীদের সিলেবাস ও সনদের মানোন্নয়নের বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। গবেষণায় ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কওমি মাদরাসাসমূহের তুলনামূলক পর্যালোচনা করা হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে এটা প্রমাণিত যে, কওমি শিক্ষার স্বকীয়তা অক্ষুণ্ন রেখে, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভেতরে থেকেই এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করা সম্ভব। এছাড়া প্রবন্ধে উল্লিখিত প্রস্তাবনাসমূহ কওমি শিক্ষার অগ্রযাত্রাকে কেবল ত্বরান্বিতই করবে না, বরং উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইলমী সিলসিলাকে আধুনিক বাস্তবতায় আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে।