বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণ ও এর প্রতিকারে প্রচলিত আইন ও ইসলামী বিধান : একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা|Causes of Suicide in Bangladesh : A Comparative Review of the Conventional and Islamic Laws on the Remedies

Abstract

Suicide not only takes a life but also affects the lives of each and every member of the society, severely injures the family, society and the state. Recently, the trend of suicide in Bangladesh is increasing at an alarming rate. Suicide is spreading like an epidemic among school-college-university students and youths who are the future driving force of the state. The increasing trend of suicide is hindering the educational cultural and socio-economic development of the country. Although various initiatives have been taken, legislation and policies have been implemented to prevent the suicide, the rate of success remains very poor. This article endeavours to study the causes of suicide in Bangladesh and the role of conventional and Islamic laws regarding the prevention of suicide. The author has applied qualitative, descriptive and analytical methods of research to produce this write-up. This research concludes that it is possible to reduce the suicide rate by increasing religious values, ​​such as trust in Allah (SWT), belief in predestination (al qadr), adherence to Islamic injunctions, and fear of  punishment in the hereafter.

সারসংক্ষেপ :আত্মহত্যা একটি জঘন্য অপরাধ, যা শুধু একটি প্রাণই কেঁড়ে নেয় না বরং তা সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রাণে আঘাত করে, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণ যুব-সমাজ যারা রাষ্ট্রের ভবিষ্যত চালিকা শক্তি তাদের মাঝে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে আত্মহত্যা। আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধিতে দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ, আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা প্রয়োগ করা হলেও তা সফল হচ্ছে না, বিধায় “বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণ ও এর প্রতিকারে প্রচলিত আইন ও ইসলামী বিধান: একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা” বিষয়ে গবেষণার জন্য এ প্রবন্ধটি রচিত হয়েছে। এ গবেষণাকর্মে গুণাত্মক তথা বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রবন্ধ থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আত্মহত্যা প্রতিকারে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রতকরণ তথা আল্লাহ্র প্রতি আস্থা, তাক্বদীরে বিশ্বাস, ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা, পরকালে শাস্তির ভয় ইত্যাদির মাধ্যমে আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা সম্ভব।