ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি : একটি পর্যালোচনা
DOI:
https://doi.org/10.58666/4aer7794Abstract
সারসংক্ষেপ : ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা হতে মদীনায় হিজরাতের পর আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ স.-এর নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। মদীনা সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ স. এ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পরিক্রমা শুরু করেন। সনদ বহির্ভূত গোত্র ও সম্প্রদায়ের সাথে সনদভুক্ত পক্ষসমূহের আচরণ কী হবে তিনি এ সনদে তা সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করেন। এর মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি বাস্তবরূপ পরিগ্রহ করে। পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ স. বিভিন্ন দেশের শাসকগণের নিকট ইসলামের আহ্বান প্রেরণ করা, যুদ্ধবন্দীদের সাথে আচরণের রূপরেখা নির্ধারণ করা, বাহ্যত পরাজয়মূলক হওয়ার পরও শান্তির স্বার্থে সন্ধি সম্পাদন করা, ইসলামী রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে শত্র“রাষ্ট্রে অভিযান প্রেরণ করা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির রূপরেখা প্রদান করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ হতে ৬৬১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে খুলাফায়ে রাশিদীন রাসূলুল্লাহ স.-এর বৈদেশিক নীতির প্রায়োগিক পরিপূর্ণতা দান করেন। উমাইয়াÑআব্বাসীয় সাম্রাজ্য যেমন ইসলামী রাষ্ট্র ছিল না তেমনি তাদের অনুসৃত বৈদেশিক নীতিও ইসলামী হুকুম-আহকাম বা আদর্শজাত ছিল না। কিন্তু এ সকল রাজবংশের কার্যক্রমকে উপজীব্য করে প্রায়শ ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে নেতিবাচক সমালোচনা করা হয়। অনেক সমালোচক আবার ইসলামী রাষ্ট্রের প্রকৃত সময়কালের [৬২২-৬৬১ খ্রি] বৈদেশিক নীতির অবস্থিতি অস্বীকার করেন। তারা দাবি করেন, আধুনিক পাশ্চাত্যই প্রথম আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছে এবং এ জন্য সুস্পষ্ট নীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর আগে পৃথিবীতে বৈদেশিক বা পররাষ্ট্রবিষয়ক কোনো নীতি ছিল না। কেননা তখন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে কোনো যোগাযোগ বা সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। বলা বাহুল্য, এ দাবি সর্বৈব অসত্য এবং ভিত্তিহীন। কারণ বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতা উদ্ভবের অনেক আগে থেকে পৃথিবীর জাতিসমূহের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ছিলো। এ জন্য গোড়া থেকেই তারা প্রয়োজনীয় নীতিমালা নির্ধারণ করে নিয়েছিলেন। ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসূল হিসেবে মুহাম্মাদ স.-এর আবির্ভাবের পর রাষ্ট্রসমূহের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব ধারা সূচিত হয়েছিলো। খুলাফায়ে রাশিদীন এ আদর্শকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছিলেন। অন্যান্য সকল বিষয়ের মতো ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির বিষয়টিও বাস্তব রূপ লাভ করেছিল আল-কুরআনের মূলনীতি ও আল্লাহর রাসূল স.-এর নির্দেশনার ভিত্তিতে। আলোচ্য প্রবন্ধে রাসূলুল্লাহ স. ও খলীফাগণের মদীনা রাষ্ট্রে অনুসৃত বৈদেশিক নীতি উপস্থাপন করা হয়েছে, যা সমালোচকদের সমালোচনার অসারতা প্রমাণের সাথে সাথে ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির প্রকৃতি ও স্বরূপ সম্পর্কে সঠিক ধারণা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2023 Md. Ibrahim Khalil
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 4.0 International License.