নাগরিক অধিকার : পরিপ্রেক্ষিত সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ও ইসলাম
DOI:
https://doi.org/10.58666/j1fgmr03Abstract
সারসংক্ষেপ : মানবসভ্যতার উৎপত্তি ও বিকাশের সাথে সাথে মানবাধিকারের ধারণাও বিকশিত হয়েছে। প্রত্যেক যুগে ও সভ্যতায় মানবাধিকার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়েছে। আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ রাষ্ট্রের কল্যাণকামিতার অন্যতম বহিঃপ্রকাশ। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে মানবাধিকার সুরক্ষার তত্ত্বগত নিশ্চয়তা প্রদান করা হলেও পরবর্তীকালে মদীনা সনদ, ম্যাগনাকার্টা, বিল অব রাইটস, ফরাসী বিপ্লবের ঘোষণা, আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা, জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র, ইসলামে মানবাধিকার বিষয়ক কায়রো ঘোষণাসহ বিভিন্ন সনদ ও ঘোষণার মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রায় সকল উদ্যোগই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তবুও বর্তমান পৃথিবীর মানবাধিকারের নীতিগত ও আইনী কাঠামোর ক্ষেত্রে সর্বাধিক উচ্চারিত পদক্ষেপ হচ্ছে ১৯৪৮ সালে ঘোষিত জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা। এই ঘোষণার দীর্ঘ ৪৩ বছর পর ১৯৯০ সালে মিসরের রাজধানী কায়রোতে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) ঘোষিত ইসলামে মানবাধিকার বিষয়ে কায়রো ঘোষণা ঘোষিত হয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে উপর্যুক্ত দুটি ঘোষণায় নাগরিক অধিকার হিসেবে বর্ণিত অধিকারসমূহকে পৃথক করে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিশ্লেষণের প্রয়াস নেয়া হয়েছে। অত্র প্রবন্ধে ১২টি নাগরিক অধিকার আলোচিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ঘোষণা দুটি যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত ও সমন্বিত হওয়ার কারণে অনেক অধিকারই এমন রয়েছে যে, সেগুলোর শ্রেণীবিন্যাস যথেষ্ট স্পষ্ট নয়। কিছু ক্ষেত্রে দুটি ঘোষণা ও কুরআন-সুন্নাহর বক্তব্যের মধ্যে আন্তঃতুলনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আলোচনান্তে বুঝা যায় যে, জাতিসংঘের ঘোষণার বহু পূর্বেই ইসলাম মানবাধিকারের ঘোষণা কুরআন ও সুন্নাহয় জোরালো ভাবে বর্ণিত হয়েছে এবং মুসলিমগণ তা ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে বাস্তবায়ন করেছে। তারপরও কায়রো ঘোষণা ইসলামে মানবাধিকারের ব্যাপারে একটি অনবদ্য দলীল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2023 Abdullah Al-Mamun
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 4.0 International License.