ইসলামী আইনে বিধবাদের অধিকার : একটি পর্যালোচনা

Authors

  • Muhammad Atiqur Rahman সিনিয়র প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।

DOI:

https://doi.org/10.58666/a4d3tc98

Abstract

সারসংক্ষেপ : ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। এ বিধানে মানবজাতির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এখানে জন্মের পর পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, আবার কারো জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলেও তার বিধি-বিধান আলোচনা করা হয়েছে। বিবাহিত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণে তার স্ত্রী বিধবা হয়ে যায়। আর ইসলামের বিধানানুযায়ী সে স্ত্রীর ওপর বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য চলে আসে। আর এ কর্তব্য পালনের মাধ্যমে সে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে, পাশাপাশি সমাজকেও তার অবস্থান পরিস্কার করতে পারে। আর এভাবে সে তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি তার অধিকারগুলো আদায় করতে পারে। আর তা না হলে স্বামীহারা এ স্ত্রী তার জীবন, সম্ভ্রম, ভরণ-পোষণ ও তার সম্পদ প্রাপ্তির নিরাপত্তাহীনতায় সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। পরিবার, সমাজ তার কাছে অপরিচিত মনে হতে থাকে, সে সবার করুণার পাত্র হয়ে যায়। বিভিন্ন ধর্মীয় আইন তাদের অধিকারের নামে যে সকল বিধি-বিধান আরোপ করে, তাতে একজন বিধবা তার স্বকীয়তা হারায়, তার অধিকার থেকে সে হয় বঞ্চিত, তার মর্যাদা হয় ভূলুণ্ঠিত আর সমাজে নেমে আসে বিপর্যয়। যার কারণে সমাজে বৃদ্ধি পায় অপরাধ, মানবসমাজ সংক্রমিত হয় নতুন নতুন মরণ ব্যাধিতে আর বৃদ্ধি পায় হাহাকার ও বঞ্চনা। কিন্তু আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে সৃষ্টি করার পাশাপাশি তাদের অধিকার ও মর্যাদা অক্ষুণœ রাখার জন্য দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যার মাধ্যমে সমাজ থেকে বঞ্চিতদের হাহাকার দূর হবে, বঞ্চিতরা ফিরে পাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার, আর সমাজ হয়ে ওঠবে ভারসাম্যপূর্ণ। আর আল্লাহ তাআলা মানবজাতির মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার জন্য তাদের বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। আর বিধবাদের মাধ্যমেও তিনি আমাদের পরীক্ষা করেন। কেননা এর মাধ্যমে একদিকে বিধবা নিজে অসহায়ত্ববোধ করে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অনীহা প্রকাশ করে, আর অপর দিকে সমাজ তার অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে তার প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন করে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

Downloads

Published

2023-10-19

How to Cite

ইসলামী আইনে বিধবাদের অধিকার : একটি পর্যালোচনা. (2023). ইসলামী আইন ও বিচার | Islami Ain O Bichar, 11(44). https://doi.org/10.58666/a4d3tc98