ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে দেশান্তরের আইনগত অবস্থান একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা |Exile as the Punishment of Fornication in Islam A Theoretical Analysis
DOI:
https://doi.org/10.58666/8r9q7167Abstract
Fornication is one of the worst grave sins. Along with the despicable punishment for fornication in the hereafter life, Islamic law has strictly formulated severe and exemplary criminal punishment for such offence. Punishment for so committing varies from married to unmarried offenders. For unmarried zani, Islam cites the punishment of one hundred lashes and one year banishment. Of them one hundred lashes has been unanimously agreed as had punishment among the jurists. However with regard to one year banishment they are of different views. In this article, opinions of jurist imams have been discussed concerning the banishment-whether it is had or not. Their textual evidences and related doctrinal points have been critically analyzed. By applying descriptive method, thus, this analysis reveals that the source of so difference is based on the principle of overruling the text. it further demonstrates that though the majority of scholars view it to be had, Imam Abu Hanifa and hanafi scholars see it as tazeer punishment and not a had.
সারসংক্ষেপ : ব্যভিচার জঘন্যতম পাপাচারের একটি। সামাজিক জীবনে ব্যভিচারের ক্ষতিকর প্রভাব ও ভয়াবহতার কথা বিবেচনায় রেখে ইসলাম পরকালীন জীবনে ব্যভিচারের জন্য নিকৃষ্ট ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির পাশাপাশি ইহকালীন জীবনেও কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান প্রণয়ন করেছে। ব্যভিচারীর প্রকারভেদে এর শাস্তিও বিভিন্নতর হয়। অবিবাহিত ব্যভিচারীর জন্য ইসলাম একশত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তরের শাস্তির কথা বলেছে। তন্মধ্যে একশত বেত্রাঘাত হদ্দ (الحد) হিসেবে সাব্যস্ত হবার বিষয়ে উম্মাহ ঐকমত্যে পৌঁছলেও দেশান্তরের বিষয়ে উম্মাহর শীর্ষ ইমামদের মাঝে মতানৈক্য বিদ্যমান। অধিকাংশের মতে এক বছরের জন্য দেশান্তর হদ্দ-এর অন্তর্ভুক্ত তবে এক দল বিশিষ্ট ফাকীহের মতে, বিশেষত ইমাম আবু-হানিফা র. এবং তাঁর অনুসারীগণের মতে দেশান্তর হদ্দ নয় বরং তাযীর (التعزير)। উল্লিখিত মাস’আলায় মতপার্থক্যের মৌলিক উৎসটি দলিল সাব্যস্ত হওয়া বা না হওয়ার উপর নির্ভর করার পরিবর্তে বিদ্যমান দলিল দ্বারা প্রমাণ পেশ করা না করা অর্থাৎ নীতিগত বিষয় ‘নাসসের ওপর সংযোজন’ (الزيادة على النص)-এর উপর অধিকতর নির্ভরশীল। সার্বিক বিবেচনায় দেশান্তর হদ্দ হিসেবে গণ্য না হওয়াটাই আধিকতর যুক্তিযুক্ত বলে প্রতীয়মান হয়। বক্ষ্যমান প্রবন্ধে অবিবাহিত ব্যভিচারীর ক্ষেত্রে দেশান্তর হদ্দ হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে ইমামদের মতামত উপস্থাপনের পাশাপাশি তাদের উপস্থাপিত দলিল, বিশেষত বর্ণিত মাস’আলা সংশ্লিষ্ট নীতিগত বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রবন্ধ রচনায় পর্যালোচনা ও বর্ণনামূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। ইসলামী ফিকহের মৌলিক উৎস কুর’আন ও হাদিসের পাশাপাশি বিষয় সংশ্লিষ্ট মৌলিক গ্রন্থাবলি তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2017 ইসলামী আইন ও বিচার || Islami Ain O Bichar
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 4.0 International License.