হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক : একটি শারঈ পর্যালোচনা|Human Milk Bank: A Shariah Review

Abstract

Breast feeding, under Islamic Shariah, establishes the relationship of fosterage between forster mother and foster child. Due to this fosterage, prohibition relating to marriage also comes into existence. Under the canons of Islamic Shariah, a foster child cannot marry his foster mother or grand mother (however high so ever) sister of the foster mother, duaghters of the foster mother and so on. Keeping in view this principle, the author has endeavoured to determine the legality of the establishment of human milk bank with special references to the juristic opinions of Islamic scholars. Several developed states have already established human milk bank and few others have taken this issue into consideration. However, no states belonging to Muslim world adopted any effective measues to establish such bank. The underlying reason is intextricably connected with the juristic opinions regarding the establishment of prohibitory marital relationship due to fosterage. International Fiqh Academy, Islamic Organization for Medical Sciences, Islamic Fiqh Academy and European Council for Fatwa and Research have recently started discussion to decipher the intricacies. This article has critically elucidated the opinions of eminent Islamic jurists to determine the legality of the establishment of human milk bank. The author has demonstrated that jurists, in this regard, are divided in their opinions. One group does not permit it, another group speaks in favour of its permissibility. Moreover, one group allows it in urgent situations however subject to certain conditions. Amidst such divergent juristic views this paper has tried to provide a viable solution.

সারসংক্ষেপ: (মায়ের) বুকের দুধপানের মাধ্যমে দুধমাতা ও দুধপানকারীর মাঝে দুধপান সম্পর্কীয় আত্মীয়তার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, যা ইসলামী শরী‘আতের আলোকে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা সাব্যস্ত করে। সুনির্দিষ্টভাবে যে শিশু কোন মহিলার দুধপান করেছে, সে ঐ মহিলা বা তাঁর মা, নানী, বোন, কন্যা প্রমুখকে বিয়ে করতে পারবে না। এই নীতির উপর ভিত্তি করে এই প্রবন্ধে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হালাল হওয়া-না হওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞ ফকীহদের দালিলিক ব্যাখ্যাসহ অভিমতসমূহ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের কোন কোন দেশ ইতোমধ্যেই এটি প্রতিষ্ঠা করেছে, কোন কোন দেশ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনায় এনেছে; কিন্তু মুসলিম বিশ্ব এখনো এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেয়নি। কেননা, হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক থেকে সরবরাহ করা দুধপানের মাধ্যমে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে শার‘ঈ নিষেধাজ্ঞা সাব্যস্ত হয় কি না, এ বিষয়ে সঠিক ফিকহী বিশ্লেষণ সর্বাগ্রে প্রয়োজন। আর এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমি, ইসলামিক অর্গানাইজেশন ফর মেডিকেল সায়েন্সেস, ইসলামিক ফিকহ একাডেমি ও ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর ফতোয়া এন্ড রিসার্চ আলোচনা শুরু করেছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক গবেষণা পদ্ধতি অবলম্বনে বিজ্ঞ ফকীহদের অভিমতসমূহের আলোকে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হালাল হওয়া-না হওয়ার বিষয়টি যাচাই করার চেষ্টা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে  দেখা যায়, এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞ ফকীহদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে, কারো মতে তা হারাম, কারো মতে জায়িয আর কারো মতে জরুরী অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে জায়িয। প্রবন্ধের শেষভাগে অভিমতগুলোর ওপর আলোচনার পাশাপাশি নানা সন্দেহ-সংশয়ের জবাব দান করত একটি সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।