ইজারায় আর্থিক জামানত পদ্ধতি : ইসলামী দৃষ্টিকোণ
DOI:
https://doi.org/10.58666/snpc6575Abstract
সারসংক্ষেপ : ইরাজায় জামানতের একটি ধরন হলো আর্থিক জামানত (financial security)। এ পদ্ধতিটি দোকান, গুদাম, অফিস, ফ্যাক্টরি ও বাসা-বাড়ি ইত্যাদি ইজারার ক্ষেত্রে সমাজে বহুল প্রচলিত। সাধারণত ইজারা নেওয়ার সময় ভাড়াটিয়াকে দোকান বা ভূমির মালিকের নিকট অগ্রিম হিসেবে নগদ অর্থ দিতে হয়। জামানত হিসেবে নগদ অগ্রিম অর্থ নেয়ার বিষয়টি পূর্বযুগে তেমন চালু ছিল না। গত শতাব্দীতে তা বহুল প্রচলন লাভ করেছে। আর্থিক জামানত কখনও মোটা অংকের হয়ে থাকে। আবার কখনও কম অংকের হয়ে থাকে, যা দুই-এক মাসের ভাড়ার পরিমাণ হতে পারে। ইজারা দেওয়া যেমন শরীয়তে বৈধ, তেমনি আর্থিক জামানত গ্রহণ করাও শরীয়তে বৈধ। জামানতের অর্থ আমানত হিসেবে থাকে। চুক্তিমতে পরে তা ফেরত দেয়া হয়। তবে অনেক সময় অফেরতযোগ্য মোটা অঙ্কের আর্থিক জামানতও গ্রহণ করা হয়, যা আসলে দখলি স্বত্বের বেচাকেনা হিসেবে গণ্য হয়। তাও শরীয়তে বৈধ। বিভিন্ন সরকারী মার্কেট ইত্যাদিতে এর প্রচলন দেখা যায়। এরূপ অবস্থায় উভয় পক্ষের চুক্তিটি কাগজে স্পষ্টভাবে লিখিত হতে হবে। যাতে মতানৈক্যের সম্ভাবনা না থাকে। ইজারাগ্রহীতা অপরকে ভাড়া দিয়েও আর্থিক জামানত গ্রহণ করতে পারে। তাও শর্ত সাপেক্ষে বৈধ। কখনো মালিক ভাড়াটিয়া থেকে কিছু টাকা ভাড়া ব্যতীত অগ্রিম নেয়, যা আর ফেরত দেয় না। শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা অবৈধ। যা মূলত পজিশন বিক্রি। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আর্থিক জামানতের বিভিন্ন প্রকার অনুসন্ধান করে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে এর সমাধান বের করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে এ ব্যাপারে মানুষের সংশয় দূর হয়ে যায়।
Downloads
Published
Issue
Section
License
Copyright (c) 2023 M Humayun Kabir Khalvi
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 4.0 International License.